ই-পাসপোর্ট একটি অত্যাধুনিক এবং নিরাপদ ডকুমেন্ট যা বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য বহির্বিশ্বে পরিচয় প্রদানে সহায়ক। রোমে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য বাংলাদেশ দূতাবাসে ই-পাসপোর্টের আবেদন প্রক্রিয়া সহজ এবং সুসংগঠিত করা হয়েছে। নিচে ই-পাসপোর্টের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট, আবেদনের ধাপ এবং ফি সম্পর্কে বিস্তারিত দেওয়া হলো:
ই-পাসপোর্টের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট:
- মেয়াদোত্তীর্ণ পাসপোর্ট:
- আপনার পাসপোর্টের মেয়াদ যদি শেষ হয়ে যায় বা মেয়াদ এক বছরের মধ্যে শেষ হবে, তবে ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
- পূর্বের অরিজিনাল পাসপোর্ট এবং একই তথ্যে থাকা বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) অথবা জন্মনিবন্ধন সনদ জমা দিতে হবে।
- পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে:
- হারানো পাসপোর্টের জন্য ই-পাসপোর্ট আবেদন করতে হলে, আপনাকে পুলিশ রিপোর্ট/দেনুনশা এর অরিজিনাল কপি জমা দিতে হবে।
- এর সাথে পূর্বের পাসপোর্টের ফটোকপি এবং একই তথ্যে থাকা জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) অথবা জন্মনিবন্ধন সনদ জমা দিতে হবে।
- পাসপোর্ট সংশোধন:
- যদি পাসপোর্টে কোনো সংশোধন প্রয়োজন হয়, তবে NID এর অনলাইন ভেরিফাইড কপি ও অংগীকারনামা জমা দিতে হবে।
- পিতা-মাতার নাম সংশোধনের জন্য, আবেদনকারীর NID এর পাশাপাশি পিতা-মাতার NID এর কপি জমা দিতে হবে।
- শিশুদের জন্য নতুন পাসপোর্ট:
- ইতালিতে জন্মগ্রহণকারী শিশুদের নতুন পাসপোর্টের জন্য বাংলাদেশি জন্মনিবন্ধন সনদ (যেখানে জন্মস্থান ইতালি লেখা থাকবে) এবং ইতালির কম্যুনে কর্তৃক ইস্যুকৃত জন্মনিবন্ধন সনদ (পিতা-মাতার নামসহ) জমা দিতে হবে।
- এছাড়াও, পিতা-মাতার পাসপোর্টের কপি প্রয়োজন।
শিক্ষার্থীদের পাসপোর্ট নবায়ন:
- শিক্ষার্থীদের জন্য পাসপোর্ট নবায়নের ফি ৩০ ইউরো। শিক্ষার্থীর বয়স ন্যূনতম ০৬ বছর হতে হবে এবং সে কোনো শ্রেণিতে পড়তে হবে।
- স্কুলের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে চলমান শিক্ষাবর্ষের সিলমোহর ও স্বাক্ষরিত সনদ উপস্থাপন করতে হবে।
- বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রদত্ত চলমান সেশন, অধ্যায়নরত বিষয়সহ বিস্তারিত উল্ল্যেখ করা সিলমোহর ও স্বাক্ষর সম্বলিত সনদ প্রয়োজন।
বিশেষ দ্রষ্টব্য:
বাংলাদেশি এবং ইতালিয়ান ডকুমেন্টের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে, যেখানে বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয়পত্র এবং জন্মনিবন্ধনে Cognome বা Surname নামের শেষে থাকে, কিন্তু ইতালিয়ান ডকুমেন্টে এটি নামের শুরুতে বা উপরে থাকে। সঠিক তথ্য নিশ্চিত করে আবেদন জমা দিন।
শেষ কথা:
ই-পাসপোর্ট পেতে দ্রুত এবং সঠিক প্রক্রিয়ায় আবেদন জমা দেওয়া নিশ্চিত করুন। যদি কোনো ডকুমেন্টের অভাব থাকে, তাহলে দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ করে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।
রোমে বাংলাদেশ দূতাবাসে ই-পাসপোর্টের আবেদন সম্পর্কে আরও তথ্যের জন্য যোগাযোগ করুন।