ইতালিতে জন্মগ্রহণকারী বাংলাদেশি শিশুদের জন্য ই-পাসপোর্ট তৈরি করার প্রক্রিয়া সহজ এবং সরল হলেও কিছু নির্দিষ্ট ধাপ অনুসরণ করতে হয়। এই ব্লগে, আমরা ইতালিতে বসবাসরত প্রবাসী বাবা-মা’দের জন্য শিশুর ই-পাসপোর্ট তৈরি করার প্রয়োজনীয় ধাপ ও নির্দেশিকা নিয়ে আলোচনা করবো।
প্রথম ধাপ: জন্ম নিবন্ধন সনদ সংগ্রহ
শিশুর নতুন পাসপোর্ট তৈরি করার আগে, আপনাকে প্রথমে তার জন্ম নিবন্ধন সনদ সংগ্রহ করতে হবে। এটি বাংলাদেশ দূতাবাস, রোম অথবা বাংলাদেশে আপনার স্থায়ী ঠিকানা থেকে সংগ্রহ করা যাবে।
জন্ম নিবন্ধন সনদ সংগ্রহের প্রক্রিয়া:
- bdris.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সনদের জন্য আবেদন করুন।
- আবেদন জমা করার সময় নিচের কাগজপত্রগুলো জমা দিতে হবে:
- ইতালির কর্তৃপক্ষ থেকে ইস্যুকৃত জন্ম সনদ (যেখানে সন্তানের এবং বাবা-মায়ের নাম উল্লেখ থাকবে)।
- বাবা ও মায়ের পাসপোর্টের ফটোকপি।
- বাংলাদেশ দূতাবাসে জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরি করতে সাধারণত ৫ কর্মদিবস সময় লাগে। আবেদন করার সময় দূতাবাস থেকে নির্ধারিত এপয়েন্টমেন্টের তারিখ খেয়াল রেখে আবেদনপত্র জমা দিন।
দ্বিতীয় ধাপ: ই-পাসপোর্ট আবেদন
জন্ম নিবন্ধন সনদ হাতে পাওয়ার পরে, শিশুর ই-পাসপোর্টের আবেদন করতে হবে। এই প্রক্রিয়া অনলাইনে সম্পন্ন করা যায়।
ই-পাসপোর্ট আবেদন প্রক্রিয়া:
- ই-পাসপোর্টের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে https://www.epassport.gov.bd/landing লিংকে গিয়ে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে।
- আবেদন ফরম পূরণ শেষে, বারকোডসহ ৪ পাতার আবেদন ফরমের একটি কপি প্রিন্ট করুন।
- আবেদনপত্রের সাথে নিচের কাগজপত্রগুলো জমা দিন:
- বাংলাদেশি জন্ম নিবন্ধন সনদ (যেখানে জন্মস্থান ইতালি উল্লেখ থাকবে)।
- ইতালির কম্যুনে কর্তৃক ইস্যুকৃত জন্ম নিবন্ধন সনদ (পিতা-মাতার নামসহ)।
- শিশুর বাবা ও মায়ের পাসপোর্টের ফটোকপি।
- আবেদনপত্রের সাথে শিশুর ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি এবং বাবা-মায়ের ১ কপি করে ছবি জমা দিন (ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা হতে হবে)।
গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা:
- পাসপোর্ট আবেদনপত্রের কোথাও সত্যায়নের প্রয়োজন নেই।
- ছবি তোলার সময় নির্দিষ্ট গাইডলাইন অনুসরণ করতে হবে।
শেষ কথা:
ইতালিতে জন্মগ্রহণকারী শিশুর ই-পাসপোর্টের আবেদন প্রক্রিয়া সহজতর করতে এই ধাপগুলো অনুসরণ করলে আপনি কোনো ঝামেলা ছাড়াই সফলভাবে আবেদন জমা করতে পারবেন। যেকোনো সমস্যার ক্ষেত্রে রোমস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করুন।